তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী ভারতকে ১৮৬ রানেই আটকে ফেলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দ্রুতি ছড়িয়েছেন সাকিব আল-হাসান ও ইবাদত হোসাইন।
১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামবে লিটন কুমার দাশের দল। সাকিবের শিকার ৫ উইকেট।
ইবাদতের শিকার ৪ ভারতীয় ব্যাটার।
এরআগে প্রথম ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে লিটন যুগে নাম লেখাচ্ছে স্বাগতিক দল।
নিয়মিত অধিয়ানয়ক ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ায় এই সিরিজে নেতৃত্বের ভার লিটনের কাঁধে। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে নেতৃত্ব, বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া নিশ্চয় বড় কিছু, দারুণ কিছু। লিটনের চোখও জয়ের দিকেই। ভারত বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাননি লিটন বাঁ নিজেদের আন্ডারডগ বলেও মন্তব্য করেননি। ঘরের মাঠে জয়ের নেশায় বিভোর লিটন জানিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা।
এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ৩৬টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ৩০টিতেই হারতে হয়েছে। পাঁচ জয়ের সঙ্গে একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশি স্পিন সামলাতে হিমহিম খেয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। শেখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে শুভসূচনা এনে দেন মেহেদী মিরাজ। এরপর ভারতীয় অধিনায়ক ও বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের ভিত ভেঙে দেন সাকিব আল-হাসান। উইকেটে এসে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালান শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুল। তবে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আয়ারও। ইবাদতের বলে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে চলে যায় বল। মুশফিকের গ্ল্যাবসে তালুবন্দি হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ বলে ২৪ রান।
এরপর ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে লড়াই করে যান রাহুল। এরপর থিতু হয়ে ১৯ রানে ফিরে যান সুন্দর। তবে অন্য-প্রান্তে আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছিলেন রাহুল।
তবে সতীর্থদের কাছ থেকে সঙ্গ পাচ্ছিলেন না। এরপর দ্রুতই ফিরেছেন অপর প্রান্তের ব্যাটাররা। ১৫৩ থেকে ১৫৬ এই ৩ রানের মাঝেই ফিরেছেন ভারতীয় তিন ব্যাটার। এরপর দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় ৭০ বলে ৭৩ রান করে ইবাদতের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন রাহুল।
এরপর শিরাজকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করে ভারতীয়দের ১৮৬ রানে বেধে ফেলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।